
একটা সময় ক্ষুদ্র রশিদ খান এসেছিলেন এখানে, এখন তিনি আইপিএলের ১৫ কোটি রুপির নিলামের আগেই নিবন্ধিত ক্রিকেটার, কিন্তু আমাদের সাকিব! যেখানে ছিলেন আজও সেখানেই রয়ে গেছেন। বরং নামের তুলনায় বলা চলে একটুখানি পিছিয়েছেন।
ধরা যায় জফরা আর্চারের কথা। বিপিএল মাতিয়ে এসেছিলেন আলোচনায়। অল্পদিনেই গোটা বিশ্বকে মাতালেন তার বন্দনায়। আইপিএল যদিও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের মঞ্চ নয়, কিন্তু পুরো বিশ্ব তো সেখানেই তাকিয়ে রয়।
একই গল্প ঘটেছে আর ঘটবেও অসংখ্যবার। গত বিপিএলেই তো আমাদের তরুণদের তুলনায় দল সেজেছিল বিদেশী তারুণ্যের প্রাধান্যতায়। মুজিব, কায়েস, নুর মোহাম্মদ থেকে লঙ্কান কিংবা ব্রিটিশ তরুণ, সবাই পেয়েছিল অধিক সম্মান৷
খারাপ সময়ে সবারই বরাবরই পাশে থেকেছে বিপিএল। ফিক্সিংয়ে ফেঁসে যাওয়া পাকিস্তানি পেসার আমির থেকে পরে অজি কাপ্তান স্মিথ, ওয়ার্নার; বিপিএলকেই পেয়েছেন ভরসার। রবি বোপারা, অজান্তা মেন্ডিস, সেকুজে প্রসন্ন বা হালের উদানা;
বিপিএল পুঁজি করেই তাদের রুটি রোজগার। তাছাড়া মরগান, মুনরোও এসেছেন, ম্যাককালামও খেলেছেন৷ আছে আরো কত কত নাম। পাকিস্তান-লঙ্কা তারকাদের কথা না হয় বাদই দিলাম!
মইন আলিও ছিলেন বিপিএলের আবিষ্কার, একটা সময় বিপিএলে সময় দিতেন বাটলার। গত বছর দিয়েছিলেন মালান, এখন তিনি টি-২০’র বড় নাম। রয়, হেলসও এসেছিলেন, ডি ভিলিয়ার্স, রুশোও মাতিয়েছেন।
ওয়াটসন, ফকনারসহ আরো অনেক নাম আছে অজানা, কিংবা স্মৃতির দুর্বলতায় আনমনা। তবে উপমহাদেশ আর ক্যারিবীয় আঙ্গিনায় আইপিএলের পর বাংলাদেশেই ছিল দৃষ্টির অন্তরায়। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাকিয়ে থাকত বিপিএলের অপেক্ষায়। হায়, সেই দিন কোথায়?
নানা অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় বিপিএল আজ ধুঁকছে। আইপিএলের পরই ছিল যার অবস্থান, আজ সেখানে বিগব্যাশ, পিএসল, সিপিএল, আবুধাবি টি-১০, হিসাব মেলালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলে আসতে পারে আরো নাম। অথচ ভালো কিছু সিদ্ধান্তই বদলে দিতে পারত বাংলাদেশের ক্রিকেট। বিপিএল ধরে রাখতে পারত শ্রেষ্ঠত্ব তার।